কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে বসতবাড়ির পাশের খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জামাতা পলাতক।
নিহত নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৭০)। তিনি মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে বাসিন্দা। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল উদ্দিন শিকদার (৫০) তাঁকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তিতাস থানার পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক রমিজ উদ্দিন জানান, জামাল উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী রহিমা আক্তার মামাতো–ফুফাতো ভাইবোন। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামাল উদ্দিনের বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। আজ সকালে হঠাৎ বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শাশুড়িকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন জামাল উদ্দিন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে সুফিয়া খাতুনকে কোলে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী নারী। এর কিছুক্ষণ পর সুফিয়ার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ দেখতে পান। জামাল উদ্দিন তাঁদের দেখে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তিতাস থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সুফিয়া খাতুনের মেয়ে রহিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কিছু বলেননি।
তিতাস থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে জামাল উদ্দিন পলাতক। সুফিয়া খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।