আওয়ামী লীগের লক্ষ্য আবারও বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করা: মির্জা ফখরুল

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে
 ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই, আবারও বিনা ভোটে জোর করে, কারচুপি করে ক্ষমতা দখল করা। শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদের ৯ বছরের কারাদণ্ড সম্প্রতি হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন। এর প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইকবাল হাসান মাহমুদ ও আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে এই রায় অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে বুকের ওপর চেপে বসে আছে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মানুষের ভোটে নয়, গুম করে, জোর করে, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে এই সরকার। এখন সময় এসেছে, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা এই বয়সেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি, আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে।’

এই সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের সম্পদ তছরুপে ব্যস্ত থাকে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েও বিদ্যুৎ দিতে পারেনি এই সরকার।

বিএনপিকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬০০ নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ২৭ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার জেলে দেওয়া হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, ভিসা নীতিতে এখন পরিষ্কার যে এই দেশে যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের জীবন–মরণের প্রশ্ন, বাংলাদেশের সম্মানের প্রশ্ন। আমরা প্রতিহিংসা, সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রুহুল কুদ্দুস তালুকদার প্রমুখ।