
জামালপুরের মাদারগঞ্জে কৃষক লীগের দুই নেতার বিএনপিতে যোগদানের ঘটনা দলে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। যোগদানের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
যোগদানকারী দুই নেতা হলেন পৌর শাখা কৃষক লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন।
উল্লেখ্য, আবুল হোসেন গত বছরের ৫ আগস্টের পর নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
গত বুধবার রাতে এই দুজন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর কাদের খান (বাবুল) তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোশারফ হোসেন ও আবুল হোসেন আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এলাকায় তাঁরা প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত হন। হঠাৎ গতকাল রাতে তাঁরা আবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
এই ঘটনায় বিএনপির একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে শহরের বালিজুড়ী বাজার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী নেতা-কর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনে এক দিন ঘরে থাকতে পারিনি। যাদের বিরুদ্ধে ১৭ বছর জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, তারা এখন দলের মধ্যে ভিড়ছে। সেটা আমাদের সিনিয়র নেতাদের হাত ধরে। আওয়ামী লীগের দোসর ওই দুজনের যোগদানের খবরে নেতা-কর্মীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা যোগদানের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর কাদের খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা দুজন বিএনপির সঙ্গেই ছিলেন। মাঝখানে বিভিন্ন চাপে পড়ে আওয়ামী লীগে গিয়েছিলেন। গতকাল আমি পার্টি অফিসে বসে ছিলাম। তখন তাঁরা দুজন এসে বলছিলেন—“আমরাও আপনার সঙ্গেই কাজ করেছি। এখন আবারও আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।” তখন আমি তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়েছি। ঘটনা এটাই। তাঁরা তো বিএনপিই করতেন।’