Thank you for trying Sticky AMP!!

পিরোজপুরে খাটের ওপর পড়ে ছিল হাত-মুখ বাঁধা প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ

লাশ

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ঘরে খাটের ওপর হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ পড়ে ছিল। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বৈবুনিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

লাশ উদ্ধার হওয়া নারীর নাম কোমেলা বেগম (৫০)। তিনি সৌদি আরবপ্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী। তাঁর বাড়ি কুমিল্লায়। তবে তাঁর স্ত্রী কোমেলা বেগম নাজিরপুর উপজেলার বৈবুনিয়া গ্রামে বাবার বাড়ির কাছে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত কোমেলা বেগমের ভাই জাহিদুল শেখ বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোন ঘরে একা ছিলেন। আজ সকালে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আমার বোনকে হত্যা করে তাঁর মুঠোফোন, কান ও গলার স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।’

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে কোমেলা বেগমের ঘরে যায় প্রতিবেশী এক শিশু। শিশুটি ঘরের খাটের ওপর কোমেলা বেগমের হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অন্যদের জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীকে তাঁর ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।