ঝিনাইদহ-৪ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল। শুক্রবার বিকেলে
ঝিনাইদহ-৪ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল। শুক্রবার বিকেলে

ঝিনাইদহ-৪

রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, কাফনের কাপড় পরে বিএনপির এক পক্ষের বিক্ষোভ

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির একটি পক্ষ। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় কালীগঞ্জ শহরের প্রধান বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শহর ঘুরে একই স্থানে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকের পরনে ছিল কাফনের কাপড়। এ সময় তাঁরা রাশেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (ফিরোজ) ও প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু। সাইফুল ইসলাম, মুর্শিদা জামান ও কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

বিএনপি সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের ২৮টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ১০টি আসনে শরিক দলের নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিন তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসন গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান।

এর পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এ আসন থেকে রাশেদ খানকে প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁরা সাইফুল ইসলাম অথবা মুর্শিদা জামানের মধ্যে একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বলেন, ‘আমরা কোনো বহিরাগতকে এখানে চাই না। আমরা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন উপেক্ষা করে দল করেছি, রাজপথে লড়াই–সংগ্রাম করেছি। এখন অন্য কাউকে এখানে মনোনয়ন দিলে আমরা মানতে পারি না। আমরা চাই এখানে দলীয় নেতার হাতে ধানের শীষ তুলে দেওয়া হোক।’

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গণ অধিকারের রাশদকে ঝিনাইদহ-২ আসনে নির্বাচন করবেন বলে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আমাদের নেতা, বাংলাদেশের নেতা তারেক রহমান দেশে এসে ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করবেন। কিন্তু সেই সময়ে এই বিভাগের এক নেতা ষড়যন্ত্র করে অর্থের বিনিময়ে একজন বহিরাগতকে মনোনয়ন দিয়েছেন।’

রাশেদ খানকে প্রত্যাহার না করা হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রিয় কালীগঞ্জবাসী আপনারা ভোটের মালিক। আপনারা যদি বলেন আমি রাজনীতি করব না, আপনারা যদি বলেন আমি নির্বাচন করব।’ এ সময় উপস্থিত জনতা সাইফুল ইসলামকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য আহ্বান জানান।

এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেওয়ার সংবাদে কানে ধরে বিএনপির রাজনীতি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফরহাদ হোসেন ও শাকিল আহম্মেদ নামের দুই যুবক। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা দুজনই উপজেলা যুবদলের কর্মী বলে জানা গেছে।