পাবনার সুজানগরে শিকারির কাছ থেকে ৪৫টি ঘুঘু উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে
পাবনার সুজানগরে শিকারির কাছ থেকে ৪৫টি ঘুঘু উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে

পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত

প্রকৃতিতে লেগেছে শীতের আমেজ। গ্রামাঞ্চলের মাঠ-বিল-চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর এই সুযোগে নির্বিচারে এসব পাখি শিকারে নেমেছেন শিকারিরা। পাবনার সুজানগর উপজেলায় এমন একদল শিকারির কাছ থেকে ৪৫টি ঘুঘু উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এসব পাখি অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই শিকারিরা উপজেলার বিভিন্ন বিল ও গ্রাম থেকে পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল উপজেলার কেষ্টপুর বাজারে বেশ কিছু ঘুঘু বিক্রি করতে যান শিকারিরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি রেখেই পালিয়ে যান শিকারিরা। পরে সেখান থেকে ৪৫টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নেওয়া হয়।

ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান জানান, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতেই রং-বেরঙের অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। কলতানে মুখর হচ্ছে উপজেলার সবচেয়ে বড় গাজনার বিল ও পাশের পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরগুলো। এসব জায়গায় দেখা মিলছে সাদা বক, বালিহাঁস, মাছরাঙা, সারস, পানকৌড়িসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পাখি। খাবারের সন্ধানে এসে এসব পাখি শিকারিদের ফাঁদে পড়ছে।

ইউএনও আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে পাখি শিকার বন্ধে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। পাখি শিকার করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ওসি মজিবর রহমান বলেন, ‘উপজেলার বাজারগুলোতে যেভাবে পাখি বিক্রি করা হয়, তা শুধু বেআইনি নয়, নিষ্ঠুরতাও। আমরা পাখি শিকার বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করব।’

এ প্রসঙ্গে প্রকৃতি ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক জেলার সংগঠন নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিউনিটির সভাপতি এহসান আলী বিশ্বাস বলেন, লোভে পড়ে শিকারিরা পাখি শিকার করেন। কিন্তু প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখি শিকার বন্ধে আরও সচেতনতা জরুরি।