কুমিল্লায় নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পানিতে ডুবে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার গুনতি গ্রামের একটি ডোবা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে ডোবায় একটি শিশুর মাথার চুল দেখতে পাওয়ার সূত্র ধরে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিরা। তবে ওই শিশুদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নানা ধরনের সন্দেহ ও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

নিহত দুই শিশু হলো গুনতি গ্রামের পূর্ব পাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন ওরফে মহিন (৯)। তারা স্থানীয় গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে দুই শিশু বাড়ির উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের দেখা যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন মনে করেছিলেন, ওই দুই শিশু খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আজ ভোর ছয়টার দিকে জিহাদের বাবা-মা বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে দেখেন, চুল ভাসছে। বিষয়টি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়ন। পরে তাঁরা পানিতে নেমে দুই শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

খবর পেয়ে লাকসাম থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ ও শাহরিয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। নিহতদের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের আবেদন জানালে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

এদিকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হলেও শিশুদের শরীরে কোনো ফোলা ভাব দেখা যায়নি। ফলে তাদের মৃত্যু নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় মানুষেরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন।

লাকসাম থানার কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চুমকি বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে ভিন্ন কোনো কারণ আছে কি না, সেটিও তদন্ত করে দেখা হবে।