
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় একই মিটারে বৈদ্যুতিক বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবি খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাহালু পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম মোছা. রূপালী (৩২)। তিনি ওই গ্রামের পলাশ মিঞার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দেবর মোজাম্মেল হক (৩২), তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৮), শ্বশুর রশিদ আলী (৬০) ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাহালু পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাল্লাপাড়া গ্রামের গৃহকর্তা রশিদ আলী ও দুই ছেলের পরিবার একই মিটারে বৈদ্যুতিক বিল ভাগাভাগি করে পরিশোধ করত। বিলের ভাগাভাগি নিয়ে গতকাল রাতে ছোট ছেলে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে বড় ছেলে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী রূপালীর ঝগড়া হয়।
বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক ধারালো ছুরি দিয়ে ভাবি রূপালীর পেটে আঘাত করেন। এতে রূপালী গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত একটার দিকে রূপালীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দেবর মোজাম্মেল হক, তাঁর স্ত্রী আফরোজা, শ্বশুর রশিদ আলী ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে আটক করে। পরে রূপালীর ভাই হত্যা মামলা দায়ের করলে আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান বলেন, গৃহবধূ রূপালী খুনের ঘটনায় কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের ইসবপুর টুপিপাড়া গ্রামের রূপালীর ভাই সুমন বাদী হয়ে বোনের দেবর ও দেবরের স্ত্রী ছাড়া শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।