২ রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ, চৌদ্দগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বরখাস্ত মো. আবু তাহের উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউপি-১ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে ওই চিঠি হাতে পেয়েছি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১১ জুন রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিয়েতনাম যাওয়ার সময় অভিবাসন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামে দুজন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫ জুন কুমিল্লার ডিএসবির উপপরিদর্শক ইমাম হোসেন চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। মামলার পরই ২৭ জুন থানা–পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই জানা যায়, ওই দুই রোহিঙ্গা নারী উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ে সেজে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুটি জন্মসনদ নিয়েছেন। পরে সেটি দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে ভিয়েতনাম পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ‘জন্মসনদ ইস্যুর ঘটনায় জন্মনিবন্ধন শাখার রেজিস্ট্রার জেনারেল আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করলে আমি সঠিক জবাব প্রদান করেছি। যেই ব্যক্তির মেয়ে সেজে তারা জন্মসনদ নিয়েছে, সেই কাজী খবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ডিএসবি মামলা করেছিল। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে। পুলিশ অভিযোগপত্রে আমাকে সাক্ষী করেছে। এরপরও আমাকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’