আসন সমঝোতার পরও বান্দরবানে জামায়াত–এনসিপির দুই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

বান্দরবানে মনোনয়নপত্র জমা দেন এনসিপির প্রার্থী (শাল পরিহিত) আবু সাঈদ মো. শাহ সুজাউদ্দিন। আজ বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আরা রিনির কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আসন ভাগাভাগির সমঝোতা হলেও বান্দরবান (৩০০) আসনে দুই দলের দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উভয় দলের প্রার্থী বলেন, দলের নির্দেশনা অনুসারে তাঁরা আলাদা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনির কাছে তাঁরা দুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এর আগে গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন আট দলের সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি)। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আমার বাংলাদেশ পার্টিও (এবি পার্টি)। তবে আসন সমঝোতার পরও জোটভুক্ত দুই দলের দুই প্রার্থী বান্দরবান আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন।

বান্দরবান আসনে জামায়াত, এনসিপির দুই প্রার্থীসহ মোট পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে বলে দলটি আগে থেকে ঘোষণা দিয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পাঁচটি রাজনৈতিক দলের পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন বিএনপির সাচিংপ্রু জেরী (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (হাতপাখা), জামায়াতে ইসলামীর মুহাম্মদ আবুল কালাম (দাঁড়িপাল্লা) এবং এনসিপির আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন (শাপলা কলি)। আসনটিতে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।

বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মুহাম্মদ আবুল কালাম রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। আজ বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আরা রিনির কার্যালয়ে

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মুহাম্মদ আবুল কালামের দাবি, তিনি দলীয় নির্দেশনা পেয়েই প্রার্থী হয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এনসিপির সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা চেয়েছেন। সম্মতিসূচক নির্দেশনা পেয়ে জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরবর্তী সময়ে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে, সেভাবে কাজ করবেন তিনি।

তবে এনসিপির প্রার্থী আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন বলেন, আসন নিয়ে সমঝোতার পর বান্দরবান আসন এনসিপিকে দেওয়া হয়েছে। আবুল কালামের মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল না। মনোনয়নপত্রে ভুলভ্রান্তির আশঙ্কায় জোটের প্রার্থিতা ধরে রাখার জন্য হয়তো তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্ধারিত তারিখের আগে উভয় দলের বোঝাপড়ায় তিনি (আবুল কালাম) মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।