
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দিন দিন কৃষিজমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বারবার ফসল ফলাতে হবে, বেশি করে ফসল ফলাতে হবে। সাধারণত ১৪০-১৬০ দিনের মধ্যে ধান হয়। সেই ধান যদি ৯০-১০০ দিনের মধ্যে হয়, তাহলে সেটি বিরাট সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। ব্রি-৯৮ আউশ ধান এই সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, ৯০-১০০ দিনে হচ্ছে। ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ। জাতটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খাদ্যনিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
আজ শনিবার বেলা একটার দিকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর মুশুদ্দি গ্রামে কৃষক ইকবালের ব্রি-৯৮ জাতের আউশ ধানের খেত পরিদর্শনকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত জাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে। বেড়েছে বোরো ও আমনের চাষ। ইতিমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্প জীবনকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন। ব্রি-৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। জাতটি মাঠপর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে। একই সঙ্গে এটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষকের হাসি আরও চওড়া করবে।’
সাধারণত ১৪০-১৬০ দিনের মধ্যে ধান হয়। তবে ব্রি-৯৮ আউশ ধান ৯০-১০০ দিনে হচ্ছে। ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ।
এ সময় কৃষিমন্ত্রীকে একই জমিতে বছরে চারটি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান কৃষক ইকবাল। তিনি জানান, ব্রি-৯৮ জাতের এই আউশ ধান ২০ দিনের চারা লাগিয়ে ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এ জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি-৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনে ব্রি-৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন শর্ষের আবাদ করবেন।