টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবন, পৌরসভা কার্যালয় ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে দুপুরে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভকারীরা সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বাসভবন, পেট্রলপাম্প ও হাইওয়ে রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা।
এরপর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে আবার শহরে প্রবেশ করেন। তাঁরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিলকারীরা বেলা তিনটার দিকে শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে হামলা করেন। তাঁরা ওই বাসভবনের প্রথম থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত ভাঙচুর করেন। এরপর তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনে ও পৌর উদ্যান এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে তাঁরা টাঙ্গাইল পৌরসভা ভবনে হামলা করেন। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করার পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পৌর ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সদর সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
পরে বিক্ষোভকারীরা শহরের থানাপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সন্ধ্যায় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।