হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। গতকাল রোববার রাতে মাইজদীর পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। গতকাল রোববার রাতে মাইজদীর পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায়

হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর গাজীপুরে হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে জেলা শহর মাইজদীতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এসব মিছিল-সমাবেশ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে জেলা জামে মসজিদের মোড় থেকে বের হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। এরপর মিছিলটি শহরের টাউন হল মোড়, গণপূর্ত ভবন ও মোহাম্মদীয়া মোড় হয়ে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী সরকারি ম্যাটস, কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব বনি ইয়ামিন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান, জেলা সংগঠক কাজী মাইনুদ্দিন তানভীর, মো. নূর হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। বক্তারা বলেন, যাঁদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ, সেই বিপ্লবীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেতন হয়। তাঁদের দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।