Thank you for trying Sticky AMP!!

আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম

আদালতে আদেশের পরে জেলহাজতে নেওয়া হচ্ছে দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে। বুধবার বেলা পৌনে একটায় দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে

আদালত অবমাননার দায়ে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে হাজির হলে বিচারক জুলফিকারউল্ল্যাহ তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক। টানা তৃতীয় মেয়াদে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমকে নিয়ে ইউটিউবে জাহাঙ্গীরের দেওয়া এক বক্তব্যের সূত্র ধরে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ, মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান এ আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগ জাহাঙ্গীরের প্রতি আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করেন। পাশাপাশি ২৪ আগস্ট তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে পৌরমেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে। এ সময় দলীয় নেতা–কর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন

নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে আপিল বিভাগ ১২ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতে হাজির হলে জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে নির্দেশ অনুযায়ী তিনি আজ আদালতে হাজির হন।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, আজ সকালে জাহাঙ্গীর আলম জরিমানার এক লাখ টাকা দিনাজপুর গাওসুল আজম বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে জমা করেন। পরে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন। দুপুর ১২টায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিনাজপুর আদালত চত্বরে হাজির হন তিনি। সাড়ে ১২টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। জাহাঙ্গীরের আইনজীবীর বক্তব্য শেষে বিচারক তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বেলা পৌনে একটায় প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় আদালত চত্বরে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

Also Read: গুরুতর আদালত অবমাননায় দিনাজপুরের পৌর মেয়রের জেল-জরিমানা