ফরিদপুর সদরে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানার অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর ছোট বটতলা এলাকায়
ফরিদপুর সদরে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানার অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর ছোট বটতলা এলাকায়

ফরিদপুরে ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান, ৬ হাজার কেজি গুড় ধ্বংস

কারখানায় নিম্নমানের চিটাগুড়ের সঙ্গে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ফিটকিরি, নন–ফুডগ্রেড রং ও ফ্লেভার, পচা মিষ্টি, মিষ্টির নষ্ট গাদ, ময়দা, সোডা ও চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছিল খেজুর ও আখের গুড়। দিনে বন্ধ রাখা হতো কারখানাটি। ভেজাল গুড় উৎপাদনের কাজ চলত রাতে। ওই ভেজাল গুড় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলসহ ঢাকা ও রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ করা হতো।

ফরিদপুর সদরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন একটি কারখানার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে সাড়ে ছয় হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। মালিকের খোঁজ না পাওয়ায় পরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর ছোট বটতলা এলাকায় স্বপন কুমার শীল নামের এক ব্যক্তির ভেজাল গুড়ের কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান। অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আজমল ফুয়াদ, জেলা ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বজলুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুর রহমান বলেন, অভিযানের সময় কারখানায় নিম্নমানের টিনজাত চিটাগুড়ের সঙ্গে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ফিটকিরিসহ ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশিয়ে চিনি ব্যবহার করে গুড় তৈরি করা হচ্ছিল। সাড়ে ছয় হাজার কেজি ভেজাল গুড় ও রাসায়নিক ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। মালিককে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁকে আসামি করে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করা হয়েছে।