Thank you for trying Sticky AMP!!

সভাপতি খায়রুলই, ঝুলে থাকল সা.সম্পাদক পদ

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী

আবারও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এবং এর আগে সভাপতি ছিলেন। আজ সোমবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি হিসেবে খায়রুল আনমের নাম ঘোষণা করেন। জেলা শহর মাইজদীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

Also Read: ফখরুলের অন্তরে জ্বালা, জ্বালারে...জ্বালা: ওবায়দুল কাদের

সভাপতির নাম ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খানের নাম প্রস্তাব করেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে আরও প্রার্থী থাকায় এবং কাউন্সিলের তালিকা অসম্পূর্ণ থাকায় ওই পদে কাউকে নির্বাচন করা হয়নি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদকে ১৭ ডিসেম্বরের আগে কাউন্সিলরের তালিকা চূড়ান্ত করে ওই দিন ভোটাভুটির মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। এ সময় আবু সাঈদ জেলার সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রার্থী, তাঁদের নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর নাম একটি কাগজে লিখে তাঁর কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান।

খায়রুল আনম চৌধুরী একসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝিতে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৎকালীন সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. হানিফকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় খায়রুল আনমকে। এর পরেরবারের সম্মেলনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বরের সম্মেলনেও সভাপতি নির্বাচিত হন খায়রুল আনম। তাঁর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রে তাঁদের জমা দেওয়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এ ছাড়া বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত ওই কমিটি বাতিল করে ৮৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয় খায়রুল আনমকে। আর সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান একরামুল। তাঁর ঠাঁই হয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যের কাতারে। আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বেই এবারের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হলো। আর ওই সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি হলেন খায়রুল আনম।