Thank you for trying Sticky AMP!!

বন্য হাতির তাণ্ডবে নির্ঘুম রাত কাটছে নালিতাবাড়ীর ৪ গ্রামের বাসিন্দাদের

শেরপু‌রের না‌লিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী বরুঙ্গা-কালাপা‌নি গ্রা‌মে দি‌নের বেলায় মশাল জ্বে‌লে হা‌তি তাড়া‌নোর চেষ্টা কর‌ছেন গ্রামবা‌সী। সম্প্রতি তোলা

বন্য হাতির তাণ্ডবে এক সপ্তাহ ধরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চার গ্রামের বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কাটছে। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। হাতির তাণ্ডব থেকে ফসলের খেত রক্ষা করতে গ্রামের লোকজন পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে ৪ গ্রামের কৃষকের ১০ একর আমনের খেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে দিয়েছে বন্য হাতির পাল।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার থেকে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির একটি পাল খাবারের সন্ধানে উপজেলার বরুঙ্গা, কালাপানি, পোড়াবাড়ি ও কোচপাড়া সীমান্তবর্তী গ্রামের ৩০-৩৫ জন কৃষকের আমনের খেত ও সামাজিক বনায়নের চারাগাছ নষ্ট করেছে। হাতিগুলো বর্তমানে ওই এলাকার বরুঙ্গা-কালাপানি জঙ্গলে অবস্থান করছে। সুযোগ পেলেই লোকালয়ে হানা দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গ্রামের লোকজন মশাল ও খড় জ্বালিয়ে, বাঁশি বাজিয়ে, হইচই করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

বরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী ও মো. ইব্রাহিম জানান, এক সপ্তাহ ধরে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পালটি দিনে বরুঙ্গা-কালাপানি জঙ্গলে অবস্থান করছে। তাই ফসল রক্ষায় গ্রামের হাতি প্রতিরোধে লোকজন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হজরত আলী বলেন, প্রতিবছর বন্য হাতির পাল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। কিন্তু হাতিগুলো তাড়ানোর স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে পাহাড়ের পাশের এলাকার মানুষ ও চাষিরা হাতি আসার খবরে নির্ঘুম রাত কাটান। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে বন্য হাতির তাণ্ডবে অন্তত ১০ একর আমন খেত নষ্ট হয়েছে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বন্য হাতির পালটি দিনে উপজেলার বরুঙ্গা-কালাপানি গভির জঙ্গলে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর পর খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে।