মামলা
মামলা

রাজবাড়ীতে র‍্যাব পরিচয়ে মুরগিভর্তি গাড়ি ছিনতাইয়ের দুই দিন পর মামলা, গ্রেপ্তার নেই

রাজবাড়ীর পাংশায় র‍্যাব পরিচয়ে মুরগিভর্তি একটি পিকআপ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাড়ির মালিক মো. হাসানুজ্জামান পাংশা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ১৩-১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, উদ্ধারও হয়নি গাড়িটি।

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ভোরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশার মৈশালা বাসস্ট্যান্ডের কাছে। ছিনতাই হওয়া গাড়িটি ছিল এসিআই কোম্পানির ফোটন ব্র্যান্ডের নীল রঙের পিকআপ।

গাড়ির মালিক হাসানুজ্জামান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কবিরপুর মহল্লার বাসিন্দা। সম্প্রতি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। তাঁর গাড়ির চালক সবুজ হাওলাদার (২৭), সহকারী নাইম হাওলাদার (২০) ও লাইনম্যান রাকিব শেখ (২৫) সোমবার দিনাজপুর থেকে মুরগি আনতে রওনা হন।

হাসানুজ্জামান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার একটি ফার্ম থেকে ৮১৯টি সোনালি প্যারেন্টস মুরগি (ওজন প্রায় দুই হাজার কেজি) নিয়ে গাড়ি ফরিদপুরের পথে রওনা দেয়। মঙ্গলবার ভোরে পাংশার বাবুপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস সিগন্যাল দিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র‌্যাব লেখা কটি পরা ১০ থেকে ১২ জন নেমে তাঁদের বলে, গাড়িতে মাদক আছে। গাড়ি থেকে নামামাত্র ওই ব্যক্তিরা চালক, সহকারী ও লাইনম্যানের হাত, মুখ ও চোখ স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। তাদের মাইক্রোবাসে তোলে এবং মুরগিভর্তি গাড়ি নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।

হাসানুজ্জামান আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসের ভেতরে তিনজনকে বৈদ্যুতিক শক দেয় ও তাঁদের চারটি মুঠোফোন কেড়ে নেয়। পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার স্বস্তিপুর পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ফটকের কাছে তাঁদের ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁরা উদ্ধার হন এবং হাসানুজ্জামানকে খবর দেন। তিনি গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আজ শুক্রবার সকালে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা হলেও পুলিশ ঘটনার পর থেকেই কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত মুরগিভর্তি গাড়ি উদ্ধার বা জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় র‍্যাব-১০ ফরিদপুর বা র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোনো দল টহলে ছিল না। ঘটনাটি জানার পর গাড়ি মালিক ও চালককে নিয়ে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।