Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে আজ মঙ্গলবার সকালে বাসের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়

ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ফরিদপুরে আজ মঙ্গলবার সকালে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। সকাল পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। বাসটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝি এসে আঘাত করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Also Read: ফরিদপুরে সড়কে নিহত ১৩ জনের ৪ জন একই পরিবারের

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে তাঁরা খবর পেয়ে ৮টা ৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান পিকআপের তিন যাত্রী মৃত অবস্থায় সড়কের ওপর পড়ে আছে। পিকআপের ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন মারা যান।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন আছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩)। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মর্জিনা বেগম।

Also Read: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১২

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৩ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।