অবকাঠামো উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায়
অবকাঠামো উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায়

তিন দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে

অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ ও শতভাগ পরিবহন নিশ্চিত করার দাবিতে টানা ৩৬ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পর এবার আমরণ অনশনে বসেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১–এর নিচতলায় এই অনশন শুরু হয়।

অনশনে অংশ নিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের শারমিলা জামান সেঁজুতি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অমিয় মণ্ডল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের তাজুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের আবুবকর সিদ্দিক, দর্শন বিভাগের পিয়াল হাসান, লোকপ্রশাসন বিভাগের আহমেদ রিয়াজ, আইন বিভাগের শওকত ওসমানসহ আরও কয়েকজন।

এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য বরিশাল–কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

জানা গেছে, তিন দফা দাবিতে গত ২৯ জুলাই মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৪ আগস্ট থেকে টানা এক সপ্তাহ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস না পেয়ে ২৪ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিন মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। ২৭ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটাক ভবনে একাডেমিক ও আবাসিক ভবনের ব্যানারও টাঙান তাঁরা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক তৌফিক আলমের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হলেও সময়সীমা শেষে ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসায় শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন।

অনশনরত শিক্ষার্থী অমিয় মণ্ডল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। উপাচার্যের আশ্বাসে ছয় দিন কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিলা জাহান সেঁজুতি বলেন, ‘৩৬ দিন ধরে আন্দোলন করেও আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন পাইনি। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছি, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’