নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত মরদেহ ও এক যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার আদমপুর-দুল্লী সড়কের দুল্লী সেতুর পাশ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তির নাম নূরুজ্জামান (৩৫)। তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাচহার বড়বাড়ি গ্রামের মৃত মোগলচানের ছেলে। পুলিশের ধারণা, অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতেই চালককে হত্যা করেছে যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে আহত যুবকের নাম অলি মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিজের অটোরিকশাটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন নূরুজ্জামান। রাত ১১টার পর কেন্দুয়া পৌরসভার জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠসংলগ্ন সিএনজি স্টেশন থেকে তাঁর অটোরিকশায় তিনজন পুরুষ ও একজন নারী যাত্রী ওঠেন। তাঁরা আদমপুর-দুল্লী সড়ক দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। এর পর থেকে নূরুজ্জামানের খোঁজ মিলছিল না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিল। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে কোথাও পাননি। পরে রাত তিনটার দিকে দুল্লী সেতুর পাশে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় পাশেই তাঁর অটোরিকশাটিকে রক্তমাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আজ সকালে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতে যাত্রীবেশে দুর্বৃত্তরা নূরুজ্জামানের গাড়িতে ওঠে। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। অটোরিকশাটি রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।