Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বামীর সঙ্গে তর্কের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া নারীর লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি সেতুর নিচ থেকে নাছিমা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর গলায় রশি প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, নাছিমার স্বামী তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নাছিমা আক্তার কসবা উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিবড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে। নাছিমার স্বামী লিটন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি সেতুর নিচে লাশটি পাওয়া যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নাছিমার বড় বোন জামিয়া বেগম বলেন, প্রায় দুই যুগ আগে নাছিমা ও লিটনের বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হলে বাবার বাড়িতে না গিয়ে অধিকাংশ সময় বোনের বাড়িতেই থাকতেন নাছিমা। জামিয়া বেগমের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে আসেন লিটন। সেখানেও স্বামী-স্ত্রী তর্কের একপর্যায়ে নাছিমা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁর স্বামী লিটন মিয়াও বেরিয়ে চলে যান। এরপর কেউই ফিরে আসেননি।

জামিয়া বেগম আরও বলেন, গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখতে পান কসবা উপজেলার মুলগ্রাম সেতুর নিচে বোনের লাশ পড়ে আছে। তাঁরা সন্দেহ করছেন, পরকীয়ার জেরে লিটন গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাছিমাকে হত্যা করে সেতুর নিচে ফেলে চলে গেছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে লিটন মিয়া বলেন, নাছিমাকে বাড়িতে আনার জন্য তাঁর বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন। বড় বোন তাঁকে আসতে বলায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর তিনিও তাঁর বাড়িতে চলে আসেন। সকালে খবর পান তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। কীভাবে কী হয়েছে, তিনি কিছুই জানেন না।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহাম্মদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।