
পাবনার বেড়া উপজেলায় ঘরে ঢুকে রহিমা খাতুন নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার নতুন পেঁচাকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রহিমা খাতুন একই গ্রামের মৃত আবদুস ছাত্তারের স্ত্রী এবং পাঁচ মেয়ে ও তিন ছেলের মা। তবে ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
স্বজন ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে গোঙাতে থাকেন রহিমা খাতুন। একপর্যায়ে চিৎকার করতে করতে প্রতিবেশী আবদুল হানিফের বাড়িতে গিয়ে সংজ্ঞা হারান। ওই সময় তাঁকে রক্তাক্ত ও গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বৃদ্ধার স্বজনেরা বলেন, রহিমা খাতুন কবিরাজি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর গলায় সোনার চেইন ও কানে দুল ছিল। আহত অবস্থায় উদ্ধারের সময় সেই চেইন ও দুল পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত তাঁর ঘরে ঢুকে সোনার চেইন ও দুল ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাঁর গলা কাটা হয়।
ওই বৃদ্ধার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল জানিয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মমতাজউদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধার বড় ছেলে শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।