অবকাঠামো সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে
অবকাঠামো সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক চতুর্থ দিনের মতো অবরোধ শিক্ষার্থীদের, ভোগান্তি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক–সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এর আগে গত রোববার শিক্ষার্থীরা একই মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন। সেদিন শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ইউজিসির কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ না করায় শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হলেও এখনো পরিপূর্ণ রূপ পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংকট প্রকট। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য আছে মাত্র চারটি আবাসিক হল। সেখানে থাকতে পারে মাত্র দেড় হাজার শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। অবকাঠামো–সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ-সংকটও তীব্র। ৭টি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন, অথচ রয়েছে মাত্র ৩৬টি। শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেক নির্ধারিত ক্লাস বাতিল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক, আবাসন, পরিবহন ও গ্রন্থাগারসংকটও প্রকট। এতে সেশনজট বাড়ছে।

এদিকে অবরোধের কারণে ব্যস্ততম বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী। পটুয়াখালীগামী একটি বাসের যাত্রী মো. মানিক বলেন, ‘গরমের মধ্যে বাসে আটকে আছি। জানি না কখন অবরোধ শেষ হবে। খুব কষ্ট হচ্ছে।’
কুয়াকাটাগামী একটি বাসের যাত্রী হোসাইন আলী বলেন, ‘আমতলীতে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে আটকে আছি। এভাবে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কেন আন্দোলন, বুঝতে পারছি না।’

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে, তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রাহাত হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তবে প্রতিটি কাজের একটি প্রক্রিয়া আছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ শুরু হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারেও জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে। পরিবহন সমস্যার সমাধানে নতুন অর্থবছরে গাড়ি কেনা হবে।’