সৌদি আরবের মালিককে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে গোপালগঞ্জে নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছেন লালন শেখ নামের এক প্রবাসী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের কাজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
সৌদি আরবের মালিককে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে গোপালগঞ্জে নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছেন লালন শেখ নামের এক প্রবাসী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের কাজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে

সৌদি মালিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গোপালগঞ্জে এলেন প্রবাসী

সৌদি আরবের এক নাগরিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছেন লালন শেখ নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তাঁরা। সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম বন্দর এনাজি আসসাই।

স্থানীয় লোকজন বলেন, লালন শেখ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের রিয়াদের নাদিম শহরের বাসিন্দা বন্দর এনাজি আসসাইয়ের মালিকানাধীন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে মালিকের (কফিল) সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় লালনের। আজ সকাল সাতটার দিকে রিয়াদ থেকে ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তাঁরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আসেন।

হেলিকপ্টার কাজুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৌদিপ্রবাসী লালন শেখ ও তাঁর কর্মস্থলের মালিক বন্দর এনাজি আসসাইকে

এদিকে প্রবাসী লালন শেখের সঙ্গে তাঁর সৌদি মালিকের গ্রামে আসার খবরে আজ সকাল থেকেই উৎসুক জনতা কাজুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করে নিতে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার কাজুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৌদিপ্রবাসী লালন শেখ ও তাঁর কর্মস্থলের মালিক বন্দর এনাজি আসসাইকে। পরে সেখান থেকে গ্রামের উত্তর পাড়ার নিজ বাড়িতে এনাজি আসসাইকে নিয়ে যান লালন শেখ। এ সময় কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান দুলু দাড়িয়া, ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারসহ গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী লালন শেখ বলেন, ‘আমার কফিল (মালিক) একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশ খুব পছন্দ করেন। কাজ করার সময় প্রায়ই বলতেন, “আমি তোমার দেশে যাব।”তাই তাঁকে আনার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আগে থেকে চিন্তা করি তাঁকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাব। সে জন্য ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে আসি। তিনি ১৫ দিন বাংলাদেশে থাকবেন। পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাব।’

সৌদি নাগরিক বন্দর এনাজি আসসাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার খুব ভালো লাগার একটি দেশ। আমি এর আগে শুনেছি বাংলাদেশের মানুষ খুব আন্তরিক। তাই লালনের সঙ্গে তাঁর গ্রামে এসেছি। এখানে মানুষের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। এখানকার গ্রামীণ পরিবেশ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি এখানে বিনিয়োগ করতে চাই।’