
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে এবার মহাসড়ক অবরোধ করে ওরিয়েন্টেশন (পরিচিতি অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষকেরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন–৩–এর সামনে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে পরিচিতি অনুষ্ঠান হয়। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বরণ ও ওরিয়েন্টেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মিলনায়তনে সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ও মিলনায়তনের আসনসংখ্যা খুবই সীমিত হওয়ায় সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে মহাসড়কেই নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের মাধ্যমে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ সময় নবীন শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ বলেন, ‘সত্যিই নতুন অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা আনন্দের ও বিষাদের। আজ যদি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকত, তাহলে আমাদের হয়তো মহাসড়কে ওরিয়েন্টেশন হতো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার দ্রুত আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবি মেনে নেবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমাদের দাবি জানিয়েছিল যে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন রাস্তায় নিতে হবে। আমাদের মিলনায়তন এত ছোট যে মাত্র ৬০ জন একসঙ্গে বসতে পারে। যেখানে নতুন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০। ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় ওরিয়েন্টেশন করতে হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজন ডিপিপি হুবহু ও দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের সুনজর কামনা করছি। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আরও প্রাণবন্ত ও সহজ হবে।’