নবজাতকের লাশ
নবজাতকের লাশ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নালায় নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহ

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণের ভেতরে নালা থেকে এক নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশের জানালা-সংলগ্ন নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ফয়েজ আহমেদ নামের এক রোগীর স্বজন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে একজন অসুস্থ রোগী নিয়ে এলে পচা দুর্গন্ধ পান। তীব্র দুর্গন্ধের কারণে মানুষ নাক চেপে ধরে চলাচল করছিল। পরে তিনিসহ কয়েকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে বের হয়ে জরুরি বিভাগের জানালার পাশে গিয়ে দেখেন, নালার মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছে একটি নবজাতকের অর্ধগলিত লাশ। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছার বলেন, ‘সকাল থেকেই পচা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম। পরে এক রোগীর স্বজন জরুরি বিভাগের জানালার পাশে নবজাতকের লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। পরে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা দেবীদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামশেদুল আলম বলেন, ‘মরদেহটি তিন থেকে চার দিন আগের। শরীরে পচন ধরে গেছে। আমরা ডেলিভারি রেজিস্ট্রার, দায়িত্বরতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখার চেষ্টা করছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মহিবুস সালাম খান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। আমাদের হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা অনেকগুলো অচল। কেউ হয়তো নবজাতককে হাসপাতাল প্রাঙ্গণের নালায় ফেলে গেছেন।’

দেবীদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ‘যেখানে মরদেহ পাওয়া গেছে, সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এ ছাড়া চরম নোংরা পরিবেশ। কেউ পরিষ্কার করে না ওই জায়গা। ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন ধরে মরদেহটি ওখানে পড়ে ছিল।’