
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ইটের আঘাতে আহত এক পথচারী কিশোর মারা গেছে। আজ শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. আনন্দ (১৪) পৌর শহরের কমলপুর গাছতলা ঘাট এলাকার তাহের মিয়ার ছেলে। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকার রুজেন মিয়া (২৬) ও ভুবন মিয়ার (২২) লোকজনের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। রুজেনের বাড়ি ভৈরবপুর এলাকার আলীম সরকার বাড়ি। আর ভুবন ভৈরবপুর এলাকার আড়াই বেপারীর বাড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই দুই ব্যক্তি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার এই দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। ওই বিবাদের সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষ চলার সময় ভৈরব বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ড হয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি ইটের টুকরা আনন্দের মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় আনন্দ বাড়ি যায়। বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে নেওয়া হয় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে আনন্দ মারা যায়।
আনন্দের ভগ্নিপতি মাহামুদুর হাসান বলেন, ‘আমার শ্বশুর পেশায় জুতা কারখানার শ্রমিক। আনন্দ সময়–সময় বাবার সঙ্গে কারখানায় যেত। সে কোনো পক্ষের নয়।’ তিনি বলেন, কোন পক্ষের ছোঁড়া ইট আনন্দের মাথায় লেগেছে, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
মুঠোফোন বন্ধ থাকায় চেষ্টা করেও ভুবন কিংবা রুজেনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
আনন্দের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, সংঘাতের কারণ খুবই ছোট। কিন্তু এর প্রভাব অনেক বড়। একজন মারা গেল আর সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কে বড় ঝামেলার সৃষ্টি হয়। মারা যাওয়া কিংবা সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করতে থানায় আসেনি।