
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা এ আসনে বিএনপির বুড়িচং উপজেলা সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।
আজ বুধবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় প্রথমে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন অবরোধ করেন মিজানুরের অনুসারী বিএনপি নেতা-কর্মীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রামমুখী লেনও অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের অনুসারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এ টি এম মিজানুর রহমানের অনুসারীরা।
মহাসড়ক অবরোধ করে নেতা-কর্মীরা ‘দুঃসময়ের মিজান ভাই, মনোনয়নে তাঁকে চাই’, ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না’, ‘৩ তারিখের মনোনয়ন মানি না, মানব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মহাসড়ক অবরোধে নারীদের উপস্থিতিও ছিল। তাঁরা মহাসড়কের ওপর বসে পড়ে মিজানুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।
মিজানুর রহমানের অনুসারীদের ভাষ্য, কুমিল্লা-৫ আসনে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করেছেন। তাই নেতা-কর্মীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করছেন। দ্রুত এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির কর্মী ইউনূস আহমেদ বলেন, ‘এ টি এম মিজানুর রহমান দলের দুঃসময়ের কান্ডারি। তাঁকে মনোনয়নবঞ্চিত করার তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। আমরা এই মনোনয়ন মানি না।’
বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু দারুল নাঈম বলেন, ‘এই আসনের দলের সকল নেতা-কর্মী মিজানুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীদের মতামত অপেক্ষা করে গত তিন নভেম্বরে এই আসনে আরেকজনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবি জানাই।’