
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রচণ্ড ঠান্ডায় ভবঘুরে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে পৌর সদরের বাইপাস এলাকার সড়ক বিভাজক থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত নারীর নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারণা, কনকনে শীতে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। সড়ক বিভাজকের ওপর কম্বল গায়ে দেওয়া অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকার সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা লাশটি দাফন করেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )মো. মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী ভবঘুরে। তাঁর কোনো আত্মীয়–স্বজন পাওয়া যায়নি। খুব সম্ভবত কনকনে ঠান্ডার কারণে মারা গেছেন। লাশ স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
লাশ দাফনে সহায়তাকারী মোহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী কনকনে শীতের কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে তাঁদের দাফন করার জন্য দিয়েছে। তাঁরা সীতাকুণ্ড সদরের ডেবারপাড় এলাকায় লাশটি দাফন করছেন।
এদিকে সারা দেশের মতো সীতাকুণ্ডে গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ উপজেলায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এটাই এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বেলা একটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের। অনেকেই কাজে যেতে পারেননি।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশায় থাকায় তাপমাত্রা কমেছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ঠান্ডা শীতকালীন ফসলের জন্য উপকারী। যদি আমের মুকুল আসে তাহলে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা কৃষির জন্য ক্ষতিকর নয় বলে জানান তিনি।