ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর কারণ খুঁজছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলের সামনের পুকুর থেকে সাজিদ আবদুল্লাহর ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর পরিবার ও সহপাঠীরা বলছেন, সাজিদ হত্যার শিকার হয়েছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাজিদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শীর্ষ কর্মকর্তা দিন-রাত আন্তরিকতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দুর্ভাগ্য যে সাজিদ আবদুল্লাহকে হারাতে হয়েছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। নিরাপত্তার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মনে যেন দ্বিধা তৈরি না হয়, সে জন্য সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

সাজিদের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা অচল। হলসহ ক্যাম্পাসে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করে না। হলে হল প্রভোস্ট থাকেন না। এমনকি হাউস টিউটরও থাকেন না।

সহ–উপাচার্য এম এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। একজন হাউস টিউটর ও একজন সহকারী প্রক্টর প্রতি রাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রক্টর মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, সড়কবাতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে।

এক দিনের শোক

সাজিদ আবদুল্লাহর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে রোববার এক দিনের শোক পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়। এতে সহ–উপাচার্য এম এয়াকুব আলীসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।