
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ–মিছিল হচ্ছে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে ঢাকা-বরিশাল এবং বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রোববার বেলা দুইটা থেকে সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। গতকাল শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
এর অংশ হিসেবে বিকেল তিনটা থেকে বরিশাল নগরের কয়েকটি কলেজ থেকে বিক্ষোভ–মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় জড়ো হন। তাঁদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। পরে তাঁরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শুরুতেই অবরোধকারীরা ঘোষণা দেন, শুধু অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি চলবে না।
অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী মো. গোলাম রহিম বলেন, ‘ওসমান হাদি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার যতদিন না হবে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’ একই কথা বলেন রেজা ই রাব্বি নামের আরেক শিক্ষার্থী। বেলায়েত শেখ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদিকে জনসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, অথচ সরকার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছি। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।’
বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে, হাদি, হাদি’; ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি, আজাদি’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। অনেকে মহাসড়কে বসে পড়েছেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়েছে। তীব্র শীত ও কুয়াশায় আটকে পড়া অসংখ্য যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
যানজটে থেমে থাকা একটি বাসের যাত্রী মো. সগির হোসেন বলেন, ‘শীত আর কুয়াশার কারণে এমনিতেই ধীরগতিতে বাস চলেছে। বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছি বরগুনা যাওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে এসে অবরোধের কারণে আধা ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। জানি না কখন অবরোধ শেষ হবে এবং কখন গন্তব্যে পৌঁছাব।’
বরিশাল নগর পুলিশের বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’