
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের ঐচ্ছিক কার্যাবলির আওতায় নেওয়া প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ, একটি স্কিম থেকে এক ইউনিয়নে ১৭টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া, আবেদন না করেই বরাদ্দ পাওয়া, একই ব্যক্তির একাধিক প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বরাদ্দ নেওয়ার মতো অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক। এদিকে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গত বুধবার জেলা পরিষদে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদার বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা আবেদন থেকে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়। অনেক সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সুপারিশ থাকে। প্রতি উপজেলায় সমবণ্টনের চেষ্টা করা হয়। তারপরও সদরে বেশি বরাদ্দ হয়। প্রকল্পগুলো মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের পর প্রথম কিস্তি দেওয়ার পর সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না মাঠপর্যায়ে দেখি, তার আগে যাচাইয়ের সুযোগ নেই। বরাদ্দে কিছু গরমিল দেখা গেছে, সেটি আমরা তদন্ত করব। অনিয়ম পেলে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
কবির হোসেন সরদার আরও বলেন, একজন একসঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ পেতে পারেন, তবে সেটি না হওয়াই ভালো। আবেদন না করে কেউ বরাদ্দ পাননি। আবেদনগুলো এক-দেড় বছর আগের ছিল। এখানে আত্মসাতের কিছুই নেই। এখন সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় হয়তো অভিযোগ করেছে।
জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। লিখিত অভিযোগও পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়ম পেলে টাকা ফেরত চাওয়া হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিষদের কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্ব বাজেটের ঐচ্ছিক কার্যাবলির ‘জনস্বাস্থ্য’ উপখাতে ৪৭টি প্রকল্পে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নেই ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়, যার বেশির ভাগই কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নসংক্রান্ত। এ ছাড়া ‘সমাজকল্যাণ’ উপখাতের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটির মাধ্যমে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আবদুল আজিজ নূরে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিপুল বরাদ্দ পাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন মো. আইনুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেও দুটি মাদ্রাসা ও একটি কবরস্থানের নামে সাত লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। আইনুল জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার দাবি করেন। জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবেও দাবি করেন। আইনুল হকের সঙ্গে সখ্য রয়েছে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদারের। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে একই গাড়িতে ভ্রমণের ভিডিও রয়েছে। আইনুল হক ভাবখালী গ্রামের প্রয়াত আবদুল আজিজের ছেলে।
তবে জামায়াতের সুতিয়াখালী সাংগঠনিক থানার সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বলেন, আইনুল হক জামায়াতের কর্মীও নন। তবে তাঁর (আইনুল) বড় ভাই জামায়াতের রুকন। আইনুলের জামায়াতের পরিচয় দিয়ে সরকারি বরাদ্দ নেওয়ার বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন। তিনি (আইনুল) জামায়াতের কেউ নন, সেটা যেখানে বলার, তাঁরা বলে দিয়েছেন।
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদার বলেন, আইনুল হকের সঙ্গে গাড়িতে তাঁর মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেটি ভিন্নভাবে প্রচারের চেষ্টা হচ্ছে।
জেলা পরিষদের বরাদ্দ তালিকার ২৩ নম্বরে জামিয়া আবদুল আজিজ নূরে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য ৩ লাখ, ৫৭ নম্বরে মাদ্রাসাতুল আজিজ নুরানিয়া হাফিজিয়া কওমিয়্যাহ মাদ্রাসার জন্য ২ লাখ ও ২৯ নম্বরে মরহুম আবদুল আজিজ মণ্ডলের বাড়িসংলগ্ন সামাজিক গোরস্থানের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন আইনুল হক। তাঁরই বাড়ির আঙিনায় আধা পাকা একটি ঘরে আবদুল আজিজ মহিলা মাদ্রাসা পরিচালিত হওয়ার তথ্য স্থানীয় লোকজন দিলেও ১৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিন কোনো সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। কওমিয়্যাহ মাদ্রাসার নাম দিয়ে সেখানে নতুন করে কিছু অংশ বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ির পাশের পারিবারিক কবরস্থানকে দেখানো হয়েছে সামাজিক কবরস্থান হিসেবে।
আইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ছেলেদের শাখা আলাদা করে পৃথক নাম দেওয়া হয়। আর্থিক দুর্বলতার কারণে ছোট ঘর থেকে বড় ঘর করতে অনুদানের আবেদন করেন। তিনটি বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘এটি আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কিছু না।’ কবির হোসেনের সঙ্গে সখ্য ও একই গাড়িতে চলাচলের ভিডিও সম্পর্কে বলেন, ‘আমার মাদ্রাসা ভিজিট করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেটি তারই ভিডিও।’
‘জনস্বাস্থ্য’ উপখাতে বরাদ্দপত্রের ৪৫ নম্বরে আছে ভাবখালী ইউনিয়নের জামিয়া হাজেরা মহিলা মাদ্রাসার নাম। প্রতিষ্ঠানটির নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সোলাইমান হুসাইন জানালেন, তিনি আবেদনই করেননি। বরাদ্দের পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বরাদ্দের প্রথম কিস্তি নিয়ে গেছে একই ইউনিয়নের চুরখাই বাজারসংলগ্ন জামিয়া হাজেরা কওমি মহিলা মাদ্রাসা।
ওই মাদ্রাসার দেয়ালে রং দিয়ে ‘জামিয়া হাজেরা কওমি মহিলা মাদ্রাসা’ লেখা থাকলেও ছাদের ওপর নতুন করে একটি সাইনবোর্ডে ‘জামিয়া হাজেরা মহিলা মাদ্রাসা’ লেখা হয়েছে। অস্তিত্বহীন মাদ্রাসাটিতে কয়েক দিন আগে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়। মাদ্রাসার সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন গত ১৪ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রশাসকের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন।
১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে চুরখাই বাজারের পাশে জামিয়া হাজেরা কওমি মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক আবুল বাশার পাঁচজন শিশুকে পড়াচ্ছেন। এক মাস আগে তিনি এখানে পড়াতে শুরু করেছেন। শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় মাদ্রাসার নাম জামিয়া হাজেরা কওমি মহিলা মাদ্রাসা। আবুল বাশার বলেন, এটি মূলত মহিলা মাদ্রাসা। এখানে মোট ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামী বছর থেকে এখানে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে।
মাদ্রাসার পরিচালক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় জামিয়া হাজী শমসের আলী মহিলা মাদ্রাসা নামে আরেকটি মাদ্রাসা আছে। জেলা পরিষদের বরাদ্দপত্রে ৪৪ নম্বরে মাদ্রাসাটির নাম আছে। বরাদ্দ পেয়েছে দুই লাখ টাকা। নজরুল ইসলাম ‘জামিয়া হাজেরা কওমি মহিলা মাদ্রাসাটি’ তাঁর আরেকটি মাদ্রাসা বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই দুটি আবেদন করে বরাদ্দ পেয়েছি।’ জামিয়া হাজেরা মহিলা মাদ্রাসার নামের বরাদ্দ তুলে নেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘সব মাদ্রাসায় কওমি, সেটা লেখা না লেখায় কিছু আসে যায় না। একই ইউনিয়নে একই নামে একাধিক মাদ্রাসা হওয়া আইনত কোনো নিষেধ নেই।’
জেলা পরিষদের বরাদ্দপত্রে ৬০ নম্বরে ‘সায়্যিদাতুন নিসা ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসা’র নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে নিজ বাড়িতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা আবদুল জব্বার। বরাদ্দের জন্য তিনি জেলা পরিষদে কোনো আবেদন করেননি। এলাকায় আলোচনা হওয়ার পর তাঁর মাদ্রাসার নামে বরাদ্দের বিষয়টি জানতে পারেন। আবদুল জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরাদ্দের জন্য আগে কে আবেদন করেছিল, তা জানি না।’
ভাবখালী গ্রামের সমর ব্যাপারীবাড়ি এলাকায় ‘রাবেয়া বসরী মহিলা কওমি মাদ্রাসা’ নামে একটি মাদ্রাসা আছে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে টিনের জীর্ণ ঘরে শিশু থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। তবে জেলা পরিষদের বরাদ্দপত্রের ৪৩ নম্বরে ‘রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা’র নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই নামে কোনো মাদ্রাসা ভাবখালী ইউনিয়নে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাবেয়া বসরী মহিলা কওমি মাদ্রাসাকেই ‘রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা’ দেখিয়ে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরাদ্দের বিষয়ে আমি জানতাম না। আইনুল হক আমাকে জানিয়েছে মাদ্রাসার নামে বরাদ্দ এসেছে। পরে আমাকে জানায়, খরচ বাদে ৯০ হাজার টাকা পাব। পরে অফিসে (জেলা পরিষদ) গিয়ে জানতে পারি, দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পরে আমরা নিজেরাই আবেদন করে এসেছি মাসখানেক আগে। এখনো টাকা পাইনি।’
বরাদ্দপত্রের ৫৬ নম্বরে ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই মধ্যপাড়ার ‘জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা কওমি মহিলা মাদ্রাসা’র নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে বাস্তবে এই নামে কোনো মাদ্রাসা পাওয়া যায়নি। সেখানে ‘জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা’ নামে একটি মাদ্রাসা পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির পরিচালক মুফতি এনামুল হাসান বলেন, ‘আইনুল ভাই আমার কাছে এসে অনুদান আসার কথা জানান, আমার মাদ্রাসার নাম দেবে কি না? তারপর কিছুদিন আগে জানতে পারি, মাদ্রাসার নামে বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক হিসাবে পেয়েছি। আমাদের মাদ্রাসার নাম জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা। কিন্তু এখানে কেন কওমি যুক্ত করা হয়েছে, কিছুই জানি না। আইনুল ভাইকে জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর পাইনি।’
ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই তিন রাস্তার মোড় এলাকার ‘আহছানুল উলুম নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’য় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা পরিষদ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এবার বরাদ্দের জন্য তাদের আবেদনই করতে হয়নি। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আশরাফুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাসখানেক আগে পাশের মাদ্রাসার লোকজনের মাধ্যমে খবর পাই, আমাদের মাদ্রাসার নামে বরাদ্দ হয়েছে। তখন আমাদের অজান্তে যিনি আমাদের মাদ্রাসার পক্ষে আবেদন করেছিলেন, সেই আইনুল হক মাদ্রাসায় আসেন। তিনি (আইনুল) টাকা তোলার জন্য ওনার সঙ্গে যেতে বলেন। এর মধ্যে আইনুল ভাইয়ের খরচ ও অফিস খরচ হিসেবে আমরা বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ পাব না, তা জানানো হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে আইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয়, যার যার আবেদন তারাই করেছে এবং উত্তোলন করছে।’ ভুয়া নাম দিয়ে বরাদ্দ দেখিয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাজশে দুজনে মিলে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘সবার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করিনি। আমার নামে ট্যাগ লাগানো হচ্ছে।’
এদিকে প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গত বুধবার জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের চার সদস্যের একটি দল। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদারকে পাওয়া যায়নি। তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়। এ সময় অন্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে তদন্ত দল। তদন্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া। তিনি বলেন, নথিপত্র যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্ত করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেই প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ইতিমধ্যে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগরের সহসভাপতি তৌহিদুজ্জামান বলেন, এভাবে সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।