কর্মসূচিতে কিশোরের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সন্ধ্যায় ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নে
কর্মসূচিতে কিশোরের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সন্ধ্যায় ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নে

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি

কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন, দোষীদের শাস্তি দাবি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা ও দুজনকে আহত করার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের রুস্তুমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ‘চোর’ সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় কিশোর মো. রিহান মাহিনকে (১৫)। পিটিয়ে আহত করা হয় তার দুই বন্ধু মুহাম্মদ রাহাত ও মুহাম্মদ মানিককে । তারা চট্টগ্রাম নগর থেকে রাতে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়িতে ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি এলে তাদের চোর সন্দেহে সেতুতে বেঁধে পেটান কয়েকজন ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মো. রিহান মাহিন।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, চোর আখ্যা দিয়ে মব করে সেতুর পিলারে বেঁধে নৃশংস কায়দায় ওই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রামবাসী ও স্বজনেরা হতাহত কিশোরদের উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। খুনের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কাঞ্চননগর তেমুহনি বাজারে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কাঞ্চননগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লোকমান চৌধুরী, স্থানীয় জামায়াতের ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আনিসুর রহমান চৌধুরী, লোকমান চৌধুরী, মুহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, মুহাম্মদ সোহেল, মুহাম্মদ মান্না, মুহামদ ইরফান, মুহাম্মদ ইমন, মুহাম্মদ সজিব, মুহাম্মদ বাবর প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সোহেল খন্দকার।