
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের দুই দিন পর শেখ আল কালাম আজাদ (৫৮) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কোঠরাকান্দি বিলের মাঝ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের ডান কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে।
এর আগে ওই শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী, শাশুড়ি ও এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছিল মধুখালী থানা–পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই মাদ্রাসাশিক্ষককে হত্যার তথ্য উঠে আসে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শেখ আল কালাম আজাদ মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের চরবামুনদি ইয়াসিন আলী দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন। তিনি মধুখালী উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ ওরফে শিমুলের বাবা।
কৃষক দলের নেতা তানভীর আহমেদ বলেন, গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিলআড়ালিয়া বাজার থেকে নিখোঁজ হন তাঁর বাবা। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মধুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
থানা–পুলিশ জানায়, জিডির সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে তারা। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী (২৮), তাঁর শাশুড়ি ও মেগচামীর খালপাড়ি গ্রামের এক যুবককে (২৮) থানায় নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাঁদের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।