সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার জরুরি সংবাদ সম্মেলন। বুধবার বিকেলে নগরের একটি রেস্তোরাঁয়
সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার জরুরি সংবাদ সম্মেলন। বুধবার বিকেলে নগরের একটি রেস্তোরাঁয়

সাদাপাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার সিলেট বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার

সিলেটের সাদাপাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। বুধবার বিকেলে নগরের বারুতখানা এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন তাঁরা।

এর আগে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাতে পাথর লুটে এই নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে একটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাদাপাথর লুট নিয়ে তদন্তে লুটপাটে ৪২ জন রাজনৈতিক নেতার নাম পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে বিএনপির ওই দুই নেতাও আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দুই নেতা বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধান: সিলেটে সাদাপাথর চুরির সঙ্গে জড়িত ৪২ জন’ শীর্ষক সংবাদে দুদকের সূত্র দিয়ে কোনো ধরনের তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত মর্মে তাঁদের নাম লুটেরাদের তালিকায় যুক্ত করেছে। এতে তাঁরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি এ ধরনের বাস্তবতাবিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের কারণে আশ্চর্য হয়েছেন।

দুই নেতার পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, কোনোভাবেই এই অপকর্মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। যাঁরা এ মিথ্যা তথ্যটি পরিবেশন করেছেন, তাঁদের এটি প্রমাণ করতেই হবে অথবা এ ধরনের মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।’ এ ধরনের ‘ভিত্তিহীন, কাল্পনিক এবং গুজব ছড়ানোর জন্য’ তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

কয়েস লোদী আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিগত ১৫ বছর থেকে এই এলাকায় (কোম্পানীগঞ্জ) তৎকালীন দখলদার আওয়ামী লীগের যোগসাজশে ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে লুটপাট চলছে, যা এখনো চলমান। প্রকাশিত সংবাদে প্রকৃত তথ্য না দিয়ে কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই মহানগর বিএনপিকে জড়ানোর এমন ঘটনা বিগত দেড় দশকের অপসাংবাদিকতা ও অপসংস্কৃতিকেই মনে করিয়ে দেয়।’ এ সময় তাঁরা প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদের সপক্ষে যথাযথ তথ্যপ্রমাণ দেশবাসীর সামনে উপস্থাপনেরও দাবি জানান।