
গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত ভবনের সামনে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে দুর্বৃত্তরা গতকাল বুধবার রাতে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন দিয়েছে। একই রাতে জেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ কেটে অবরোধ সৃষ্টি করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারী নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে নৈশপ্রহরীর চিৎকারে তাঁর ঘুম ভাঙে। বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন ভবনের সামনে রাখা পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বলছে। গাড়ির চারপাশে ও সড়কে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এসে পানি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা ছুড়েছে। একটি বোতল অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেটার ভেতরে এখনো পেট্রল রয়েছে। আশপাশে ভাঙা কাচ ও জ্বালানির গন্ধ পাওয়া গেছে।’
এদিকে গভীর রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কয়েকটি স্থানে গাছ কেটে সড়কে ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোররাত চারটার দিকে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ বলেন, ‘ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে খবর পাই, গণপূর্ত ভবনের সামনে একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি, স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এ ছাড়া সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ তৈরি করা হয়েছিল, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলেছি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ টহল দিচ্ছে এবং শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সকালে শহরের বিভিন্ন বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনের তুলনায় যাত্রীসংখ্যা অনেক কম।
গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন মোড়ের টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও ইমাদ পরিবহনের কাউন্টার গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর বাস ছাড়লেও সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে গেছে। দূরপাল্লার বাসও সীমিত আকারে চলাচল করছে। আন্তজেলা বাস স্বাভাবিকভাবে চললেও যাত্রীসংখ্যা কম।