আদালত
আদালত

নাটোরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে কিশোরের ১০ বছরের আটকাদেশ

নাটোরে মাদক সেবনের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলায় রবিউল ইসলাম (১৫) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে আরেক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

রবিউল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ঘটনার সময় সাজা পাওয়া কিশোরের বয়স ছিল ১৬ বছর। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৬ বছর।

শিশু আদালত সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কাদের জানান, রবিউলকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা আজিজুল হক। অন্য চার আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নিয়মিত আদালতে তাঁদের বিচার হচ্ছে। শিশু আদালতে হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড। তাই আদালত দায়ী কিশোরকে ১০ বছর কারাদণ্ডই দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোর রবিউল গ্রামের কিছু বখাটে ছেলের সঙ্গে মেলামেশা করত। সে নিজে মাদক সেবন না করলেও অন্যরা গোপনে মাদক সেবন করত। ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় তারা গ্রামের পাশের একটি বিলে যায়। সেখানে অন্যরা মাদক সেবন করছিল। গ্রামে ফিরে এ তথ্য ফাঁস করার কথা বললে তারা রবিউলকে হত্যা করে বিলের কাদাপানিতে পুঁতে রাখে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর দোষ স্বীকার করে। তাদের দেখানো স্থান থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরে অভিযুক্ত কিশোরের বিচারের জন্য মামলাটির কিছু অংশ শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে গতকাল বিচারক রায় ঘোষণা করেন।