খেলার মাঠে আসা প্রথম দর্শক হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার পর দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন নাটোরের আবুল হোসেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
খেলার মাঠে আসা প্রথম দর্শক হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার পর দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন নাটোরের আবুল হোসেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে

ফুটবলের ফাইনাল খেলায় প্রথম দর্শকের পুরস্কার পেলেন নাটোরের সেই আবুল

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় মাঠে আসা প্রথম দর্শকের পুরস্কার পেলেন নাটোরের সেই আবুল হোসেন। খেলা শেষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় হামিদপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি মুঠোফোন তুলে দেওয়া হয়। আবুল হোসেন প্রথম দর্শকের পুরস্কার পেতে দুই দিন আগে মাঠে এসে হাজির হয়েছিলেন।

ওয়ার্ডভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল হামিদপুর ডিজিটাল ক্লাব। আজ ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফাইনাল খেলা দেখতে দর্শক হিসেবে যিনি আগে মাঠে আসবেন, তাঁকে মুঠোফোন পুরস্কার দেওয়া হবে—আয়োজক কমিটির এমন ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সুদূর নাটোর থেকে সখিপুরে চলে আসেন আবুল হোসেন। তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হয়।

ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক হামিদপুর ডিজিটাল ক্লাবের সভাপতি ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘খেলার মাঠের প্রথম দর্শকের পুরস্কার জিততে আবুল হোসেন ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খেলা শুরুর দুই দিন আগেই আমাদের কাছে এসে হাজির হন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়। আবুল আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ব্যাপক প্রচার হওয়ায় এতে আমাদের মাঠে দর্শকের সংখ্যাও বেড়েছে। আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে দুই দিন তাঁর খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা প্রথম দর্শক হিসেবে তাঁকেই পুরস্কার দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করি। দুই দিন ধরে তিনি এলাকায়ই ছিলেন। হামিদপুর বাজারের প্রতিটি চায়ের দোকান তাঁর জন্য ছিল ফ্রি।’

আবুল হোসেনের বাড়ি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সোনাইখাড়া গ্রামে। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই খুশি। হামিদপুর ডিজিটাল ক্লাবের সব সদস্য ও এলাকার লোকজন খুবই ভালো। তাঁরা আমাকে অনেক আদর–যত্ন করেছেন। আমি ফুটবলভক্ত একজন মানুষ। দূরে গিয়ে খেলা দেখতে পছন্দ করি। পুরস্কার নিশ্চিত করতে দুই দিন আগেই চলে এসেছিলাম।’

উল্লেখ্য, উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদপুর ডিজিটাল ক্লাব ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের (৪ নম্বর ওয়ার্ড বাদে) আটটি ওয়ার্ডের ফুটবল দল অংশ নেয়। ৪ অক্টোবর খেলা শুরু হয়। আজ ছিল ফাইনাল খেলা। ২ নম্বর বনাম ৫ নম্বর ওয়ার্ড ফুটবল দলের মধ্যে ফাইনাল খেলায় ২–১ গোলে জয় পায় ২ নম্বর ওয়ার্ড ফুটবল দল।