
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খেয়ে ফেলার জেরে একটি বিড়ালের গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত নারীর নাম বুলবুলি বেগম (২৬)। তিনি একই উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বুলবুলি বেগমের বাড়িতে একটি বিড়াল ঢোকে। একপর্যায়ে প্রাণীটি রান্না করা মাছ খেয়ে ফেলে। গত মঙ্গলবার রাতে বিড়ালটি দ্বিতীয় দফায় বুলবুলির ঘরে ঢোকে। এ সময় বুলবুলি ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধরে বঁটি দিয়ে গলা কেটে ফেলেন। এভাবে হত্যার পর একটি ধানখেতে ফেলে দেন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী ইসাহাক আলীর স্ত্রী শামছুন্নাহার মিনা গতকাল সকালে বিড়ালটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন। মরদেহটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণের পর তিনি থানা-পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানির পর বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
শামছুন্নাহার মিনা জানান, এক মাস আগে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছয়টি পোষা বিড়াল আনেন। যে বিড়ালকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি তাঁর পোষা বিড়ালগুলোর সঙ্গেই থাকত।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত বিড়ালের দেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িত নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদমদীঘি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ বলেন, মৃত বিড়ালটির ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রচলিত আইনে প্রাণীর প্রতি নির্দয় আচরণ বা এতে সহায়তার দায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।