রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, এ সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রাচীর ভেঙে গাছপালা কেটে ফেলার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ব্যবসায়ী এমরানের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের আলী ও তাঁর ভাই এবাদত হোসেনের মধ্যে সাড়ে ছয় শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে থানা ও আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান আছে। সম্প্রতি একটি মামলায় এমরানের পক্ষে রায় হয়। এরপর দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত মঙ্গলবার নওশের ও এবাদতের নেতৃত্বে ১২-১৩ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র নিয়ে এমরানের বাড়ির পাশে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে যান। একপর্যায়ে সেখানে থাকা ইটের প্রাচীর ভেঙে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এমরানের পরিবারের সদস্যদের বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে জমিটি দখলে নেয়।
এমরানের পরিবার জানায়, অবরুদ্ধ অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। তাঁদের অভিযোগ, বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর একটি পক্ষ দলবল নিয়ে জমিটি দখল করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামাল হোসেন বলেন, তিনি এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।