খুলনায় চাঞ্চল্যকর তিন খুন মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

খুলনার লবণচরা এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর তিন হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি)। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

১৬ নভেম্বর লবণচরা থানা এলাকায় একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফাতিহা (৭) ও মুস্তাকিম (৮) এবং তাঁদের নানি মহিতুন্নেছা (৫৩)। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর লবণচরা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

মামলার তথ্যানুযায়ী, অভিযুক্ত মো. শামীম শেখ এবং মামলার বাদী নিহত দুই শিশুর বাবা সেফার আহম্মেদের সম্পর্কে মামাতো–ফুফাতো ভাই। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় শামীম শেখ একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে ওই সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে প্রতিপক্ষ সেফার আহম্মেদের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা নেন শামীম। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ নভেম্বর রাতেই সেফার আহম্মেদের বাড়িতে ঢুকে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে শামীম শেখ পলাতক ছিলেন এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর নামে এর আগে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, মূল আসামি শামীম শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ইতিমধ্যে অভিযুক্ত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন লবণচরা থানার মোল্লাপাড়া (আর্জুর কালভার্ট) এলাকার তরিকুল ইসলাম (২৬) ও জিন্নাহপাড়া এলাকার তাফসির হাওলাদার (২০)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা অঞ্চল) মো. শিহাব করিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) ত ম রোকনুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু পিসি) মো. গোলাম মোর্শেদ এবং লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন (মাসুম)।