
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকাগামী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তানহা আক্তার (৮) নামের এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এ সময় তার বাবা রুবেল মিয়া (৩৫) ও মা ময়না আক্তার (২৮) গুরুতর আহত হন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তানহা কুমিল্লা সদরের কালীরবাজার ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আহত রুবেল মিয়া ও ময়না আক্তারকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তানহার দাদা কুমিল্লা সদরের কালীরবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ছেলে রুবেল মিয়া স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার চরশিবপুর গ্রামে ঈদের ফিতরের দাওয়াতে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকাগামী একটি অজ্ঞাত বাসের চাপায় নাতনি তানহা আক্তার ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং ছেলে রুবেল মিয়া ও পুত্রবধূ ময়না আক্তার গুরুতর আহত হন।
রুবেল মিয়া স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার চরশিবপুর গ্রামে ঈদের ফিতরের দাওয়াতে যাচ্ছিলেন।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নওরীন সুলতানা বলেন, আহত দম্পতির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত তানহার লাশ দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। স্বজনেরা থানায় পৌঁছালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেলকে পেছন দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। ওই মোটরসাইকেলের আরোহী ফেনী সদরের বাসিন্দা মাহবুব আলম (৩৪) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত মাহবুব আলমকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।