নতুন ঘরের বারান্দায় শিশুকন্যাকে নিয়ে বসে আছেন স্বপ্না বেগম। এবার তিনি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন দেখছেন। গতকাল সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা গ্রামে
নতুন ঘরের বারান্দায় শিশুকন্যাকে নিয়ে বসে আছেন স্বপ্না বেগম। এবার তিনি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন দেখছেন। গতকাল সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা গ্রামে

ফলোআপ

স্বপ্নার স্বপ্নপূরণ, খবর প্রকাশের পর পেলেন আধা পাকা বাড়ি

অন্যের বাড়িতে জন্ম স্বপ্না বেগমের। সন্তানদেরও জন্ম হয়েছে রাস্তার পাশে খাসজমির ঝুপড়ি ঘরে। নিজের নামে জমির দলিল ও আধপাকা একটি ঘর পেয়ে তাঁর যেন উচ্ছ্বাসের সীমা নেই। এত দিন খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা গ্রামের রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে শিশুসন্তানদের নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এখন একই এলাকায় তাঁর ঠাঁই হয়েছে একটি আধপাকা ঘরে।

এমন আনন্দঘন মুহূর্তে নিজের সংগ্রামের কথা ভোলেননি স্বপ্না। গতকাল বুধবার সকালে সেগুলোই মনে করে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাঙা ঘরে কী যে কষ্টে ছিলাম! এ রহম পাকা বাড়ির কথা কখনো স্বপ্নেও দেখিনি। আপনারা যে উপকার করলেন, তা জীবনেও ভোলার নয়।’

স্বপ্নার সংগ্রামের কথা তুলে ধরে গত ২৯ নভেম্বর ‘বাঁইচে থাকা যে কত কষ্টের, তা আমার মতন আর কেউ বুঝবে না’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি দেখেই তাঁকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। কয়রা উপজেলার আংটিহারা গ্রামের তিন কাঠা জমির ওপর তোলা হয় দুই কক্ষ, বারান্দাসহ একটি ঘর। এক সপ্তাহ আগে সেটি তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবু হাসান। তিনি জমি ক্রয় ও ঘরটি নির্মাণের সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করছিলেন।

স্বপ্নার জীবনে এই পরিবর্তনের আনন্দ ছড়িয়েছে প্রতিবেশীদের মধ্যেও। প্রতিবেশী দেবব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ওদের এবার একটা থাকার ঘর হলো। এতে আমরাও ভীষণ খুশি।’