ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের নেতারা। আজ দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে
ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের নেতারা। আজ দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে

ফেনী-১ আসন

খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, বিকল্প প্রার্থীও রেখেছে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সোয়া একটায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্রটি জমা দেওয়া হয়। একই আসনে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সমন্বয়ক মুন্সি রফিকুল আলম ওরফে মজনুও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁর নির্বাচনী সমন্বয়ক মুন্সি রফিকুল আলম, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ওরফে ভিপি জয়নাল। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রেহানা আক্তার রানু, আবু তালেব, শাহানা আক্তার শানু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সমন্বয়কারী মুন্সি রফিকুল আলম ওরফে মজনু বলেন, ‘বিএনপির দলীয় প্রার্থী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর পক্ষেই আমরা কাজ করছি।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

এই আসনে বিকল্প প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে বলে জানান খালেদা জিয়ার মনোনয়ন জমা দিতে আসা দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, ‘নেত্রী অসুস্থ থাকায় বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। যদি শেষ মুহূর্তে তিনি ভোট করতে না পারেন তখন বিকল্প চিন্তা করা হবে। তবে খালেদা জিয়া মাঠে না থাকলেও তাঁর পক্ষে প্রচার–প্রচারণা চলমান।’

এর আগে ২১ ডিসেম্বর বিকেলে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেবের নেতৃত্বে বিএনপির নেতারা।

ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হক বলেন, ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মুন্সি রফিকুল আলম ওরফে মজনুর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ আসন থেকে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, গণমুক্তি জোটের প্রার্থীসহ ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।