
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একটি মুখপোড়া হনুমানের শাবক মারা গেছে। ঘটনাটি ঘটে আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় ঢাকা-সিলেট পুরোনো মহাসড়কে। বন বিভাগের লোকজন মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করতে পারেননি।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-সিলেট পুরোনো মহাসড়ক। যে সড়কটি চুনারুঘাট উপজেলা সদর হয়ে জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর হয়ে ঢাকা-সিলেট মূল মহাসড়কের সঙ্গে মিশেছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেল চারটার দিকে একটি মুখপোড়া হনুমানের বাচ্চা রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস এটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই হনুমানের শাবকটি মারা যায়।
সন্তানের মৃত্যুর দৃশ্যটি দেখে মা হনুমান দীর্ঘ সময় সেখানে বসে থাকে। এই দৃশ্য এ সড়কে চলাচলকারী মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয়। স্থানীয় লোকজন জানান, এ বনের ভেতরে দ্রুতগতিতে যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য প্রাণী।
সিরাজ মিয়া নামে সাতছড়ির এক অধিবাসী প্রথম আলোকে বলেন, এ বনের ভেতরে মহাসড়ক থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় সময়েই সাপ, হনুমান, বানরসহ নানা ধরনের প্রাণী মরে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হকিগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ডিএফও) মীর জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ বিকেলে একটি মাইক্রোবাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে হনুমানের শাবকটি মারা গেছে। বনের ভেতরে সব ধরনের যানবাহন যেন গতি কমিয়ে চলাচল করে সে জন্য তাঁরা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। কিন্তু যানবাহনগুলো সেই সতর্কতা মানে না।
এই বন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সড়ক বিভাগকে অনেক আগেই বলেছি এ সড়কে স্পিডব্রেকার বসানোর জন্য। কিন্তু তারা বলে, মহাসড়কের এ ধরনের স্পিডব্রেকার বসানোর নিয়ম নেই। সবাই মিলেই বনের প্রাণী রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।’