ফরিদপুরে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলাম হামলায় আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী জাহেদা আক্তার বাদীয় হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মঞ্জুরুল ইসলামকে হত্যার জন্য ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে’ সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে; তবে হত্যাচেষ্টার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি; আসামিরাও অজ্ঞাতনামা। পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা মাস্ক ও ক্যাপ পরে এসেছিল। তাঁদের মোটরসাইকেলও ছিল নম্বরবিহীন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, মামলার এজাহারে মোটরসাইকেলে করে এসে অধ্যক্ষের ওপর হামলার বিবরণ দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি হিসেবে অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে উল্লেখ করা হযেছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হীরামন বিশ্বাস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, একটি মোটরসাইকেলে হামলাকারীরা এসেছিল। তাঁদের মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ ছিল; মোটরসাইকেলটি ছিল নম্বরবিহীন। এ থেকে ধারণা করা যায়, অধ্যক্ষের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করার পাশাপাশি নিজেদের পরিচয় গোপন করতে আঁটঘাঁট বেঁধেই এসেছিল হামলাকারীরা।
এসআই হীরামন বিশ্বাস আরও বলেন, ওই মোটরসাইকেলে চালকসহ দুজন না তিনজন আরোহী ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল এবং হামলাকারীরা যে পথ দিয়ে আসতে পারে কিংবা যে পথ দিয়ে যেতে পারে, সেইসব পথের অন্তত দেড় ডজন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর শহরের আবদুল করিম সড়কে অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। পেছনের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে আসে হামলাকারীরা। মোটরসাইকেলের এক আরোহী লাঠি দিয়ে অধ্যক্ষের মাথায় আঘাত করলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান। তিনি মাথায় আঘাত পান। পরে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে কলেজের নিজ বাসভবনে নেওয়া হয়।
প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কলেজের সামনের সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।