
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গ্রেপ্তার চিকিৎসকের নাম ইকরামুল হক। তিনি ওই হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জন। গত সোমবার ওই হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ের দ্বন্দ্বের জের ধরে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তরিকুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই দিনই তরিকুল ইসলাম থানায় মামলা করেন। এর পর থেকে ইকরামুল হক আত্মগোপনে ছিলেন।
জামালপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তরিকুল বাদীয় হয়ে ইকরামুল ও তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে সদর থানায় মামলা করেন। এরপর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে, রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.নাজমুস সাকিব বলেন, রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জামালপুরে আনা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই হাসপাতালে সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে দাবি চিকিৎসক ইকরামুল হকের। বিষয়টি নিয়ে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সোমবার দুপুরে আরএমও তরিকুল ইসলাম তাঁর কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ ওই কক্ষে ঢোকেন চিকিৎসক ইকরামুল হক। এ সময় তরিকুল ইসলামকে তাঁর পছন্দের লোক নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে তরিকুল ইসলাম অস্বীকৃতি জানালে ইকরামুল ক্ষুব্ধ হন। এ সময় তরিকুল ইসলাম তাঁর কক্ষ থেকে ইকরামুলকে বের হয়ে যেতেন বলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তরিকুলকে মারধর শুরু করেন ইকরামুল। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাঁকে থামান। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়।