কক্সবাজার শহরের সৈকত সড়কে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হয় ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা। আজ লাবণি পয়েন্টে
কক্সবাজার শহরের সৈকত সড়কে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হয় ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা। আজ লাবণি পয়েন্টে

কক্সবাজার

ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা, পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ—যা যা হলো বিশ্ব পর্যটন দিবসে

সমুদ্রসৈকত ঘেঁষে রাস্তা দিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে বের হয়েছে শোভাযাত্রা। ব্যান্ড দলের বাজনার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি। সৈকতে আসা পর্যটকদের চোখেমুখে বিস্ময়। শোভাযাত্রা থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁদের হাতে ফুল তুলে দিলেন। বরণ করে নিলেন বেড়াতে আসা অতিথিদের।

কক্সবাজারে আজ শনিবার এমন রঙিন আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবসের কর্মসূচি। এ উপলক্ষে দিনভর ট্যুরিস্ট পুলিশের মোটর শোভাযাত্রা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা ছিল।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, বিভিন্ন ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রার আগে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। শোভাযাত্রাটি হোটেল–মোটেল জোনের সৈকত সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।

এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’। লাবণী পয়েন্টের মুক্তমঞ্চে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল প্রমুখ।

কক্সবাজার শহরের সৈকত সড়কে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হয় ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা। আজ লাবণি পয়েন্টে

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পর্যটনের সঙ্গে এ জেলার মানুষ কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত। আমরা পর্যটন–সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করছি। কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে কীভাবে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করা যায়, সে লক্ষ্যে কর্মতৎপরতা ঠিক করছি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিদেশি পর্যটক টানতে হবে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে কয়েক দিনের ছুটিকে সামনে রেখে কক্সবাজার সৈকতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটছে। তাঁদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পর্যটকেরা দর্শনীয় স্থানগুলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সৈকতে পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হচ্ছে। আজ দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের লাবণি পয়েন্টে

হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১২ দিনের ছুটি। এ দিনগুলোয় ৮ থেকে ৯ লাখ পর্যটকের সমাগমের আশা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ও সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো গেলে বিদেশি পর্যটকেরা আসবেন কক্সবাজারে।’