Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামেও পিটার হাসকে হত্যার হুমকির অভিযোগে করা মামলার আবেদন খারিজ

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস

ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালা উদ্দিন এই আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে একই আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন একটি মানবাধিকার সংগঠনের চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এম এ হাশেম। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি।

জানতে চাইলে বুধবার সন্ধ্যায় বাদী এম এ হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, মামলার আবেদন খারিজ করার আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর এই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করা হবে।

মামলার বাদী এম এ হাশেম। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায়

মামলায় অভিযুক্ত করা হয় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলম, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, চাম্বল ইউপির সদস্য ইফতেখার উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ, ইহসান, নাছির, ফরহাদ ও সাইফুলকে।

মামলায় মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেওয়া এম এ হাশেম দাবি করেন, ৬ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলম। তাঁর ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলম

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদুল আলম। সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে ফরিদুল আলমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে পিটার হাসকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন করেছিলেন এম এ হাশেম। ২৩ নভেম্বর আদালত তা খারিজ করে দেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক

একই অভিযোগে ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধেও মামলা নেওয়ার আবেদন করছিলেন এম এ হাশেম। পরে ঢাকার সিএমএম আদালত সেদিন মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজের আদেশে দেন। আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করা হলে আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি শুনানির জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য রয়েছে।